আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস উপলক্ষে শনিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে মিরপুর ট্রেনিং কমপ্লেক্সে দুর্যোগ-অগ্নিকাণ্ডে অংশগ্রহণ করা ২৫ স্বেচ্ছাসেবককে ‘সাহসিকতা’ সম্মাননা দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর।
পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- ঢাকা বিভাগের ফারজানা হোসেন সিনথিয়া, মো. ইকবাল আহমেদ, অয়ন ভূঁঞা, জহির উদ্দিন, রায়হান তুহিন, জান্নাতুল ফেরদৌস তিন্নি, ফাতেমা আকতার, নূরে আফরিন, মনির হোসেন, মিজানুর রহমান মিজান, শামীম আহমেদ, খায়রুল ইসলাম, সাবরিনা সুলতানা সাফা, আনোয়ার হোসেন, ওমর ফারুক; চট্টগ্রাম থেকে আলী হোসাইন ও সানজানা আক্তার; সিলেট থেকে সুলতান মো. সাব্বির আহমেদ ও শরীফা আক্তার লিমা; গাজীপুর থেকে নাজিম উদ্দিন; রংপুর থেকে গোলাম সাজ্জাদ হায়দার; বগুড়া থেকে শরিফুল ইসলাম বিদ্যুৎ; নারায়ণগঞ্জ থেকে শহিদ আলামিন রবিন এবং সাভার থেকে গোলাম রাব্বানী।
স্বেচ্ছাসেবকদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মো. হাবিবুর রহমান, পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম জুলফিকার রহমান, ইঞ্জিনিয়ার্স ও পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, ‘ভলান্টিয়ারদের সাহসিকতার সঙ্গে ও স্বেচ্ছায় বিভিন্ন অগ্নিকাণ্ডে সরকারের জরুরি বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করাতে দেশে দুর্যোগকালীন সময়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। এ জন্য তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা রয়েছে। দেশে বর্তমানে ৪৩৬টি ফায়ার স্টেশন আছে। আগামী জুনের মধ্যে ২৮৬টা স্টেশন চালুর পরিকল্পনা আছে। এছাড়া ১৩ হাজার ১১০ জন ফায়ার কর্মী নিয়োজিত আছে, সে হিসেবে এক হাজার ৪০০ মানুষের জন্য একজন ফায়ার কর্মী রয়েছে। এছাড়া আগামীতে ভূমিকম্পের মতো বড়-বড় দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা অর্জন করতে না পারলেও বিগত দিনের তুলনায় বর্তমানে অনেকটাই বাহিনীর সক্ষমতা বেড়েছে।’
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আগে ট্রেনিং কমপ্লেক্সে শোভাযাত্রা বের হয়ে মিরপুরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।